১২ বছরের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম সর্বনিম্ন

অতিরিক্ত উৎপাদন ও সরবরাহের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বের পণ্যবাজারে।
মজুদ বেশি থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে। এতে স্থানীয় সময় বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ৩০ ডলারের কমে বিক্রি হয়। ২০০৪ সালের এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো জ্বালানি তেলের মূল্য এত নিচে নামল।
মঙ্গলবারের চেয়ে গতকাল লেনদেন শেষে ২ শতাংশ কমেযায় জ্বালানি তেলের দাম। তবে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির খবরে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলে আবার দাম ১ শতাংশ বাড়ে।
নিউইয়র্কের এনার্জি ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ অংশীদার ডমিনিক চিরিচেলা বলেন, তেলের মজুদের খবরটি বাজারের পতন-প্রবণতা আরো দীর্ঘায়িত করবে।
মার্কিন জ্বালানি প্রশাসনের তথ্যমতে, গত সপ্তাহে আরো দুই লাখ ৩৪ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল মজুদ করা হয়েছে।
বুধবার মর্গান স্ট্যানলির বিশ্লেষকরা বলেন, জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কমতে পারে।
বুধবার জ্বালানি তেলের দাম লেনদেনের প্রথম দিকে ৩০ ডলার ৩১ সেন্ট নামে। তবে পরে আরো কমে ২৯ ডলার ৯৬ সেন্ট দাঁড়ায়। তবে ২০০৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম ২৯ ডলার ৯৩ সেন্ট পর্যন্ত নেমেছিল।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বুধবার পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক জরুরি বৈঠক করেছে। কিন্তু সেখানে তেলের উৎপাদক দেশগুলোর জন্য ভালো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/জিএম