আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ১৬:০৯

হৃদয়ের সুস্থতায় কি করছেন?

অনলাইন ডেস্ক
হৃদয়ের সুস্থতায় কি করছেন?

বাড়িতে অলস সময় কাটাতে এখন অনেকেই তেমন আগ্রহী নন। সবাই একটু সচেতনতার সঙ্গে বলেন, বাড়িতে শুয়ে বসে দিন না কাটিয়ে হাটাহাটি করে শরীর সুস্থ রাখি।

কিন্তু এই সচেতনতা আমাদের শরীরকে কতটা শায় দিচ্ছে সেদিকে আমাদের খেয়াল অবশ্যই রাথতে হবে। কারণ এই হনহন করে হাঁটা আমাদের হৃদয়ের উপর চাপ ফেলতে পারে। হতে পারি হৃদরোগে আক্রান্ত। তাই এজন্যই এখন বাজারে আসছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।

আসুন  এমন কিছু যন্ত্রের ব্যবহার জেনে নিই

১। হার্ট রেট মনিটর: আপনার হৃদয় কী বলছে? বেশি হাঁটাহাঁটিতে বিপদসীমা পেরিয়ে চলে যায়নি তো। বিষয়টা নজরে রাখতে পারেন হার্ট রেট মনিটর দিয়ে। বুকে বাঁধা থাকে সেন্সর (চেস্ট স্ট্র্যাপ ট্রান্সমিটার) আর কব্জির রিসিভারে ভেসে উঠে হার্ট রেট। এখন আবার স্ট্র্যাপলেসও পাওয়া যাচ্ছে।

ঘড়িটি কব্জি কিছুক্ষণ ছুঁয়ে থাকলেই বলে দেয় হৃদয় কী বেগে দৌড়োচ্ছে। তবে চেস্ট স্ট্র্যাপ ট্রান্সমিটারের মতো বিস্তারিত তথ্য এতে পাওয়া যায় না। আরও আধুনিক ব্যবস্থায় সেন্সর দেওয়া থাকছে কাপড়ের বুননে। স্পোর্টস ব্রার মতো পরলেই চলে।

২। পেডোমিটার: এই যন্ত্রের সাহায্যে সারা দিনে কতটা হাঁটলেন তার হিসাব পাওয়া যায়। কতবার পা ফেললেন তার হিসাবটাই মূলত উঠে। এর সঙ্গে প্রতি পদক্ষেপের দূরত্ব গুণ করে কতটা দূরত্ব অতিক্রম করা গেল তার হিসাব হয়। আধুনিক পেডোমিটারে হাঁটার পাশাপাশি কতবার নুয়েছেন, বেঁকেছেন তার হিসাব দেয়।

৩। জিপিএস ট্র্যাকার: এই যন্ত্রের সাহায্যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কত অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ থেকে কততে গেলেন মেপে মোট কত দূরত্বের হিসাব পাওয়া যায়। যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, সেখানেও এই যন্ত্রটি বেশ কাজের।

৪। স্মার্টফোন: ব্যাপারগুলো অল্পের মধ্যে সারতে চাইলে স্মার্টফোন কিনে নিতে পারেন। কিছু অ্যাপ ডাউনলোড করে নিলেই কতটা হাঁটলেন, কত কিলো ক্যালোরি ঝরালেন সব জানতে পারবেন।

স্মার্টফোন মানেই তাতে জিপিএস ট্র্যাকার রয়েছে। যেটা করতে হবে, হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেল চালানোর সময় একটা আর্মব্যান্ডের সাহায্যে স্মার্টফোনটা হাতে আটকে নেবেন। আর্মব্যান্ডের দাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু। অ্যাপ ডাউনলোডেও খরচ নেই। যে অ্যাপগুলো কাজে লাগবে, সেগুলি হল স্ত্রাভা, এন্ডোমোন্ডো, ডেইলিমাইল, পেডোমিটার ইত্যাদি ।

সাধারণ স্মার্টফোনে হার্ট রেট জানতে পারবেন না। এর জন্য সেন্সর লাগে। সাঁতার কাটার সময়ও স্মার্টফোন পরা যাবে না। জলের তলার বিশেষ ব্র্যান্ডের অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার লাগে। এ সব অ্যাপে দরকার থ্রি জি নেটওয়ার্ক।

বিডিটাইমস৩৫৬ ডটকম/এইচএস/একে/জেডএম

উপরে