
হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকসহ কার্ডিওভাসকুলার রোগে বছরে সারাবিশ্বে ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এই হার বছরে ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন।
এই বিপুল পরিমান মানুষের মধ্যে থাকতে পারেন আপনি বা আপনার কোন শুভাকাঙ্খি।হুটহাট মুখোমুখি হতে পারেন এই ঘাতক রোগের।হার্ট অ্যাটাক হলে অনেকেই অস্থির হয়ে যান।কি করবেন বুঝে উঠতে পারেন না।
অথচ এই সময়ই মাথা ঠান্ডা রাখা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ঠান্ডা মাথায় রোগীকে যতটা প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারবেন ঝুঁকি তত কমবে। এই সময় ঘাবড়ে গিয়ে দেরি করে ফেললে কিন্তু বিপদ আরও বাড়বে। জেনে নিন কী করবেন জরুরি সময়ে।
কী ভাবে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা-
১। বুকে ক্রমাগত ব্যথা, ছড়িয়ে পড়তে পারে চোয়াল, কাঁধ, দাঁত, গলা, হাতে।
২। হঠাৎ পালস রেট খুব বেড়ে যাওয়া বা একেবারে কমে যাওয়া।
৩। অতিরিক্ত ঘাম
৪। বুকে মাঝখানে অস্বস্তিকর চাপ অনুভব করা, ভারী ভারী ভাব।
৫। শ্বাস ছোট হয়ে আসা।
৬। মাথা ঘোরা, জ্ঞান হারানো।
৭। বমি বমি ভাব।
এই অবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি। অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স কল করুন বা ডাক্তারকে ফোন করুন।তবে খেয়াল রাখবেন যেন রোগীর সঙ্গে সারাক্ষণ কেউ থাকে।
অ্যাম্বুলেন্স বা ডাক্তার আসার আগে কীভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবেন-
১। প্রথমেই রোগীকে রিল্যাক্সড অবস্থায় নিয়ে আসুন। দেওয়ালে হেলান দিয়ে মাটিতে বসান। ঘাড়, মাথা কাঁধ হেলান দিয়ে হাঁটু মুড়ে রোগীকে বসালে রক্তচাপ কমবে।
২। রোগীর যদি অ্যাসপিরিনে অ্যালার্জি না থাকে তবে অ্যাসপিরিন দিন। এই সময় ৩০০ গ্রাম অ্যাসপিরিন চিবিয়ে খেতে পারলে ধাক্কা অনেকটাই সামলানো যাবে।
৩। এই সময় রোগী শক পেতে পারেন। জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বুঝতে পারলে শক পাওয়া খুব স্বাভাবিক।
৪। ক্রমাগত শ্বাস, পালস রেট ও রোগী কেমন সাড়া দিচ্ছেন তা চেক করতে থাকুন।
৫। রোগী যদি অজ্ঞান হয়ে যায় তবে সিপিআর-এর সাহায্য নিন।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/আরকে