
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার সংসদে তার দেওয়া ভাষণে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী ও আল-কায়েদার প্রাক্তন প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে 'শহীদ' হিসাবে উল্লেখ করায় দেশজুড়ে তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। গত ২৫ জুন সংসদে ইমরান খানে আমেরিকাকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, ইসলামাবাদকে না জানিয়ে আমেরিকান সুরক্ষা বাহিনী পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিল এবং ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। তিনি আরও বলেছিলেন, এই ঘটনার পরে বিশ্বের সবাই পাকিস্তানকে গালিগালাজ করতে শুরু করে যা দেশটিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিল। খান বলেছিলেন: "আমরা আমেরিকাকে‘ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ’সহায়তা করেছি। এটি করার ফলে পাকিস্তান মারাত্মক অবমাননার মুখোমুখি হয়েছিল।"
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল পাকিস্তান আঞ্চলিকভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল’ বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর থেকে। এরপরপরই ইমরানের এই ভাষণ জন্ম দিয়েছে নতুন সমালোচনার।
সংসদে ইমরান বলেছিলেন, ‘তার পরে কী হয়েছিল? গোটা বিশ্ব আমাদের উপর আপত্তি তুলেছিল। আমাদের নিজস্ব মিত্র (মার্কিন) আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে এবং কাউকে এমনকি আমাদের কিছু না বলে হত্যা করেছে লাদেনকে। এটি পাকিস্তানের জন্য চরম অবমাননা।”
বিরোধী দলীয় নেতা ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী খাজা আসিফ ইমরান খানকে সমালোচনা করে সংসদে বলেন ‘বিন লাদেন একজন “চূড়ান্ত সন্ত্রাসী”তিনি আমার জাতিকে ধ্বংস করেছেন এবং [খান] তাকে শহীদ হিসাবে অভিহিত করছেন।’
এক টুইট বার্তায় দেশটির বিশিষ্ট সমাজকর্মী মীনা গাবিনা বলেছেন: " জঙ্গিবাদের কারণে যে বৈষম্য হচ্ছে তার কারণে সারা বিশ্বে মুসলমানরা লড়াই করে যাচ্ছে অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী ওসামা বিন লাদেনকে ইসলামের ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে আরও খারাপ কাজ করেছেন! "
পিপিপি নেত্রী শেরি রেহমান বলেছেন যে ওসামা বিন লাদেনের কারণে পাকিস্তান এখনও বিশ্বে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় পাচ্ছে অথচ তার পক্ষেই সাফাই গাইছেন ইমরান। তাকে শহীদের সম্ম্ননা দেওয়া কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
খবর ডন নিউজের