নামের অর্থ ‘বিশালকায় লিঙ্গ’ সৌদি নাকচ করেছিল পাকিস্তানের কুটনীতিবিদ আকবর জেবকে

নাম তার আকবর জেব। জন্ম পাকিস্তানে। ডাকসাইটে এই কুটনীতিবিদ পাকিস্তানের হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, কানাডা ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। কিন্তু বিপত্তি আসলো যখন তাকে সৌদী আরব বদলী করা হয়। সৌদী বাদশা তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানে। কারণ হাস্যকর হলেও করুণও বটে আকবার জেবের জন্য। আরবীতে ‘আকবর’ কথার মানে হচ্ছে বিশাল আর ‘জেব’ কথার মানে হচ্ছে লিঙ্গ। তো দুটি শব্দ পাশাপাশি দাড় করালে মানে যা দাড়ায় তা হচ্ছে ‘বিশালকায় লিঙ্গ’। মধ্যপ্রাচ্যে ‘বিশালকায় পুলিঙ্গ একটি স্পর্শকাতর শব্দ। আর যে কারণে ২০১০ সালে সৌদি আরব থাকে প্রত্যাখান করে। এর আগে নামের এই নেতিবাচক অর্থের কারণে তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল আমিরাত ও বাহরাইন।
আরবি ও অন্য ভাষার লোকদের আকবর নাম হরহামেশা দেখা যায়। কিন্তু কারো নামের সঙ্গে জিব রাখা হয় না। উর্দুতে এই শব্দ থাকলেও আরবিতে তা পুরুষের বিশেষাঙ্গ নির্দেশ করে।
জনপরিসরে এই শব্দ এড়াতেই আকবার জেবকে অ্যাম্বাসাডর হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি। ২০১০ সালে আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৃতীয় দেশ হিসেবে সৌদি আরব আকবার জেবকে অ্যাম্বাসাডর হিসেবে রাখতে আপত্তি জানাল। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন তাঁকে শুধু নামের জন্য প্রত্যাখ্যান করেছে।
সৌদি সংস্কৃতি সমালোচক আহমেদ আল-ওমরান বলেন, এটা ভাবা কঠিন যে কারো নাম সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে এই লেভেলে এসে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি যে কেন সরকার এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাল।
তিনি আরো বলেন, এটি সাংস্কৃতিক লাল রেখা অতিক্রম করেছে। আমি মনে করি না যে মিডিয়া এ রকম কোনো নাম প্রকাশ করার সাহস করবে। সুতরাং তিনি এখানে থাকাকালীন মিডিয়া তাঁর নাম সংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হবে এবং এটি তাঁর সঙ্গে কাজ করা কঠিন করে তুলবে। পাকিস্তানের পক্ষেও তা বিব্রতকর হবে।