পুরুষরা আমাকে ভয় পায়, অতিরিক্ত যৌন-আসক্তির কারণে!

সামি ওয়ালটন তার জীবনে বহু চাকরি হারিয়েছেন, হারিয়েছেন অনেক বন্ধুও। কারণ তিনি আসক্ত; না মাদকে নয়, যৌনতায়। ২৯ বছর বয়সী সামি এতটাই যৌনাসক্ত যে তার কোনো বয়ফ্রেন্ডই শেষ পর্যন্ত টেকেনি। দিনে দশবার পর্যন্ত যৌন-সম্পর্কে লিপ্ত হতেন সামি।
টানা কয়েক বছর এমন অস্থির যৌনজীবন কাটানোর পর সামি বুঝতে পেরেছেন এটা তার সমস্যা। এক ধরনের অসুস্থতা। তবে এর জন্যে তিনি অনুতপ্ত নন বলে জানিয়েছে দ্য সানডে পিপল পত্রিকাকে।
সানি পিপলকে বলেন, অনেক পুরুষ এমন একজন নারীকে কল্পনা করে যে খুব কামুক হবে। কিন্তু আমার কোনো প্রেমিক আমার সঙ্গে সপ্তাহের বেশি থাকতে পারেনি। আশেপাশের পুরুষরা ভয় পেয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।
তিনি বলেন, আমি পাগলের মতো পুরুষ খুঁজেছি। বারে গিয়ে বসে থাকতাম সন্ধ্যে পর্যন্ত। ফ্রি পান করাতাম। আমাকে চেনে না এমন কোনো পুরুষকে খুঁজতাম। আমি অবশ্যই সমকামী না, কিন্তু চাহিদা মেটাতে অনেক মেয়েকে বিছানায় নিয়েছি। আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে জীবনে কত জনের সঙ্গে আমি বিছানায় গেছি, আমি বলতে পারবো না। সংখ্যাটা গুণে রাখার মতো না।
সামি তার বর্তমান প্রেমিক জেমস প্রসঙ্গে বলেন, আমি খুব ভাগ্যবান যে জেমসকে পেয়েছি। আমরা চার বছর একসঙ্গে আছি। ও্ বিছানায় যেমন পারদর্শী তেমন আমাকে বোঝেও। আমি যখন যৌনতায় ছটফট করি, তখন সে জানে কীভাবে আমাকে শান্ত করতে হবে।
সামি জানান, এখন তারা নিয়ম করে প্রতিদিন মিলিত হন। তবে যখন তার বয়ফ্রেন্ড তার পাশে থাকেন না, বা ব্যর্থ হন তার নেশা মেটাতে; তখন তিনি তার একটি বিশেষ কক্ষে যান। সেই কক্ষে প্রায় ২ হাজার ডলার ব্যয় করে তিনি বিভিন্ন ধরনের সেক্স টয় কিনে রেখেছেন। সে এক আশ্চর্য সংগ্রহশালা!
পিপল পত্রিকাকে সামি আরো জানান, শুরুর দিকে মনে হত, আমি লটারি জিতেছি। এখন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছে আমি একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এখন ভাবছি ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। আবার মনে হয়, ডাক্তার কি আমার সমস্যাটা আদৌ ধরতে পারবে?
সামির প্রেমিক জেমস জানান, সামি আমাকে বলেনি যে সে যৌন-আসক্ত। তবে সেটি আমার বুঝে নিতে সময় লাগেনি। শুরুতে আমরা এক সপ্তাহে ৪০ বার পর্যন্ত মিলিত হতাম। কিন্তু আমার এখন বয়স হয়েছে। অল্পতে হাঁপিয়ে উঠি। তবে আমি খুশি যে ওর সেক্স টয় আছে।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/এসএম